বাংলাপোস্ট ডেক্সঃ দুধে হলুদ মেশিয়ে নিয়মিত খেলে নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় যে সর্দি -কাশি হয় তা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এই খাবারটি। যেকোন ধরনের সংক্রমণ সারাতেও হলুদ-দুধ বেশ উপকারী। হলুদ-দুধের আরও জানা-অজানা উপকার সম্পর্কে আমাদের এই আলোচনা-
১। যারা ওজন কমাতে চান তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন এক গ্লাস দুধ ও একটুখানি হলুদ। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। হলুদে থার্মোজেনিক নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ক্যালরিও কমায়। হলুদে রয়েছে ফাইবার, যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আবার দুধে থাকা প্রোটিন এবং ক্যালশিয়াম একদিকে যেমন শরীরে পুষ্টিবৃদ্ধি করে অন্যদিকে মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।
২। মানব শরীরের অ্যাডিপোজ টিস্যুর বৈশিষ্ট্য হলো ফ্যাট জমিয়ে রাখা। ফ্যাট জমিয়ে রাখার ফলেই ওজনাধিক্য দেখা দেয়। হলুদে আছে সারকিউমিন যা অ্যাডিপোজ টিস্যুকে ফ্যাট আহরণ করতে দেয় না। ফলে নিয়মিত হলুদ দুধ পান করলে শরীরে মেদ জমতে পারে না।
৩। হলুদমিশ্রিত দুধের আয়ুর্বেদিক উপাদান প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পরিশোধনে সহায়তা করে। রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে হলুদ-দুধ।
৪। হলুদের থারমোজেনিক প্রোপার্টি মেটাবোলিজম বাড়াতে সহায়তা করে। আদারই কাছাকাছি জাতের এই মশলাটিতে সোগাওল এবং জিনগারোল আছে যা মেটাবোলিজম বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে।
জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন হলুদমিশ্রিত দুধ:
উপকরণ:
কাঁচা হলুদ- এক ইঞ্চি (টুকরা করা)
দুধ- ২২০ মিলি
চিনি অথবা মধু- স্বাদ মতো
গোলমরিচ গুঁড়া- এক চিমটি
প্রস্তুত প্রণালী:
একটি পাত্রে হলুদ কুচি ও দুধ একসঙ্গে ফুটান। চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ। গরম থাকতে থাকতেই ছেঁকে মধু অথবা চিনি মিশিয়ে নিন। গোলমরিচ গুঁড়া ছিটিয়ে পরিবেশন করুন হলুদ-দুধ। চাইলে কাঁচা হলুদের বদলে হলুদ গুঁড়া মিশিয়েও বানাতে পারেন হলুদ-দুধ।